রােগ প্রতিরােধে খাদ্যের ভূমিকা:

                  দেহে রােগ প্রতিরােধে খাদ্যের ভূমিকা অপরিসীম । খাদ্যের দ্বারা দেহে কার্বোহাইড্রেট , প্রােটিন , ফ্যাট , ভিটামিন , খনিজ লবণ ও জল সরবরাহিত হয় , ফলে দেহকোশের বিভিন্ন প্রকার চাহিদা পূরণ হয় । আবার খাদ্যের মধ্যে যদি প্রােটিন , ক্যালােরি এবং অন্য কয়েক রকমের পােষকের অভাব হয় । তাহলে অপুষ্টিজনিত অবস্থার সৃষ্টি হয় , এই অবস্থাকে প্রােটিন ও ক্যালােরি ম্যালনিউট্রিশন বলে । এটি প্রধানত দু রকমের যথা — কোয়াশিয়ােরকোর ও ম্যারাসমাস ।

ভিটামিন ‘ A’
চোখের রেটিনাথিত রড ও কোন গ্রাহক কোশের রঞ্জক ( রডােপসিন ও আয়ােডপসিন ) উৎপাদন করে দর্শনানুভূতিতে সাহায্য করে এবং আবরণী কলার গঠন ও কার্যকারিতা বজায় রেখে রাত্ৰান্ধতা , জেরপথ্যালমিয়া , কেরাটোম্যালেশিয়া , টোডস্কিন ইত্যাদি রােগ প্রতিরােধ করে ।

ভিটামিন ‘D’
অস্থি গঠনের মাধ্যমে রিকেট রােগ প্রতিরােধ করে ।

ভিটামিন ‘E’
বন্ধ্যাত্ব প্রতিরােধ করে ।

ভিটামিন ‘B’
কমপ্লেক্স চিলােসিস , গ্লসাইটিস , ডার্মাটাইটিস , পেলেগ্রা , পার্নিশিয়াস অ্যানিমিয়া প্রতিরােধ করে ।

ভিটামিন ‘C’
স্কার্ভি রােগ প্রতিরােধ করে ।

*বিভিন্ন খনিজ লবণ ,
যেমন — লােহা অ্যানিমিয়া প্রতিরােধ করে ,
ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস রিকেট রােগ প্রতিরােধ করে ইত্যাদি ।

                                   *******